• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

In India

দেশ

এই আলো এই অন্ধকার

আলো -অন্ধকারে যাই -মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়,কোন এক বোধ কাজ করেআলো আর অন্ধকার যে শুধু কবির বোধ জাগায় তা নয়। প্রকৃতির নিয়মে মানুষের সমাজেও আলো আর অন্ধকারের পাশাপাশি অবস্থানে ছড়িয়ে থাকে বিষাদ আর সুখ। ধান ভানতে শিবের গীত গেয়ে লাভ নেই অতএব থামা যাক। লোকসভা নির্বাচনের চালচিত্রে যে প্রসঙ্গে আলো অন্ধকারের কথা মনে এল এবার সে কথাই শুরু হোক।পঞ্চম দফার ভোট পর্যন্ত গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় ভোট দানের হার কমা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। পঞ্চম দফার শেষে দেখা যাচ্ছে কয়েক কোটি মানুষ এবার ভোট দিলেন না। তাঁরা কি গনতন্ত্রে আস্থা হারালেন? নাকি ভোট কম পড়ার পিছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে? এর উত্তর খুঁজতেই বিভিন্ন পন্ডিত ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নানান মতামত দিচ্ছেন। ভোট দানের হার কমার মাঝে পঞ্চম দফার ভোটে দেখা যাচ্ছে পুরুষদের থেকে মহিলাদের ভোট দানের হার বেশি। ২০ শে মে আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ৪৯ টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট দান সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে এই ৪৯ টি লোকসভা কেন্দ্রে মহিলাদের ভোট দানের হার ৬৩ % এবং পুরুষদের ভোটদানের হার ৬১.৪৮% ।আরও পড়ুনঃ ভোটের সুনামিতবে জম্মু কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিম বঙ্গে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ভোটদানের হার সামান্য বেশি। পাশাপাশি বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে পুরুষ এবং মহিলাদের ভোট দানের হারে ব্যাবধান অনেকটাই বেশি। বিহারে মহিলা ভোট পড়েছে ৬১.৫৮% আর পুরুষ ভোট পড়েছে ৫২.৪২ % । ঝাড়খণ্ডে মহিলা ভোট দানের হার ৬৮.৬৫ % এবং পুরুষদের ভোটদানের হার ৫৮.০৮ % । এই নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের ই পাখির চোখ মহিলা ভোট। নারী শক্তির জয়গান আর মহিলাদের জন্য কল্যাণমূলক প্রকল্পের প্রবল প্রচারে নির্বাচনী ক্ষেত্র মুখর। তাই বলা ই যায় রাজনৈতিক দল গুলির প্রাণভোমরা বন্দী রয়েছে নারী শক্তির ভাঁড়ারে। যদিও ভোট টানার জন্য কিছু কল্যাণময় প্রকল্প ছাড়া মহিলাদের মূল সমস্যা দূর করার কোনো দিশা নেই। তবু ভোটের গনগনে আঁচের মধ্যে রাজনীতির পরিসরে মহিলাদের স্বর প্রতিষ্ঠার এই স্ব-উদ্যোগ যেন ঠান্ডা বাতাস।আরও পড়ুনঃ গ্যারান্টি বনাম ন্যায় - ভোটের হালহকিকততবু আলোর পাশেই তো অন্ধকার থাকে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে দেশের প্রায় পাঁচ কোটি প্রথম বার ভোটারের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করেছেন। সবচেয়ে করুণ চিত্র বিহারে। জাতীয় জনসংখ্যার বিচারে বিহারের জনসংখ্যায় তারুন্যের ভাগ সবচেয়ে বেশি। সেই রাজ্যে কম বয়সীদের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন। দিল্লিতে এই সংখ্যা ২১ শতাংশ। দেশের তরুণ নাগরিকদের ভোটদানে এই অনীহার কারণ কি? তারা কি গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আগ্ৰহ হারাচ্ছেন? এর উত্তর খোঁজা অত্যন্ত জরুরি। ভারতের মত বৃহত সংখ্যক তরুণ, তরুণীর দেশে এই প্রবণতা গনতন্ত্রের পক্ষে অশুভ ইঙ্গিত

মে ২৭, ২০২৪
দেশ

Begging: দেশে বেড়ে গিয়েছে ভিখারির সংখ্যা, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

করোনা মহামারি কেড়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষের অনেক কিছু। মাথায় হাত পড়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এমন সব খবর তো গত এক দেড় বছরে অনেক শোনা গিয়েছে। কিন্তু এবার যে খবর সামনে আসছে সেটা শুনে মুষরে পড়তে পারেন অনেকেই। দিল্লি সরকারের একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, দিল্লির রাস্তায় গত কয়েক মাসে ভিখারির সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট- এর সেই সার্ভের রিপোর্ট বলছে, করোনা মহামারির এই চূড়ান্ত দুঃসময়ে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বেকার হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। আরও পড়ুনঃ প্যারিসে পৌঁছে অন্যরকম অভ্যর্থনা পেলেন লিওনেল মেসিচলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেখানে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। দিল্লির রাস্তায় এখন ৫২ শতাংশ বেড়েছে বেকারের সংখ্যা। গত পাঁচ বছর ধরে বহু নতুন ভিখারি দেখা গিয়েছে দিল্লির রাস্তায়। সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, মাত্র ৮ শতাংশ ভিখারি ছোটবেলা থেকে ভিক্ষা করতে বাধ্য হয়েছে। আইএইচডি-র রিপোর্ট বলছে, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, অশিক্ষা এবং শারীরিক সমস্যার জন্য ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দিল্লির বিভিন্ন রাস্তায় এমন মানুষদের ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখা গিয়েছে যাঁরা করোনা মহামারির সময় কাজ হারিয়েছেন। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষের মাথার উপরে ছাদ নেই। অর্থাৎ শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষায় মাথা গোঁজার কোন ঠাই নেই তাঁদের। দিল্লির রাস্তায় ভিক্ষাবৃত্তি করা মানুষদের ৪৫ শতাংশ ঝুপড়িতে থাকতে বাধ্য হন। করোনা মহামারির জন্য কাজ হারিয়ে ভিক্ষা করতে বাধ্য হওয়া মানুষদের সংখ্যাটা উল্লেখযোগ্য। তাঁদের মধ্যে অনেকেই অবশ্য ছোটখাটো কাজ করেন। কিন্তু হাতে যা টাকা আসে তা দিয়ে সংসার চলে না। ফলে বাড়তি উপার্জনের জন্য তারা ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করছেন। কুড়ি শতাংশ ভিখারি এমন রয়েছেন যাঁরা এই পেশায় আসার আগে দিনমজুর, কারখানার শ্রমিক, পরিচারক বা পরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন।

আগস্ট ১১, ২০২১
দেশ

Modi: 'লোকার গোজ গ্লোবাল'-এ বেকারত্ব দূরীকরণে বিশেষ পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

শুক্রবার লোকাল গোজ গ্লোবাল- মেক ইন ইন্ডিয়া ফর ওয়ার্ল্ড নামক একটি অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দেশের ব্যবসা উন্নয়নে শিল্পপতিদের বিশেষ জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন। করোনা বয়ে এনেছে দেশে বেকারত্বও। যুব সম্প্রদায়ের কথা মাথায় রেখেই তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিল্পপতিদের রপ্তানি শিল্পে বিশেষ জোর দেওয়ার পরামর্শ দিলেন। করোনার ধাক্কায় দেশের অর্থনীতির গতি ধীর হয়েছে, তাকেই পুরনো গতিতে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ সাহায্য করতে পারে রপ্তানি শিল্প, এমনটাই মত প্রধানমন্ত্রীর।আরও পড়ুনঃ ভারতীয় হকির পুনর্জন্মে নেপথ্য নায়ক নবীন পট্টনায়েকতিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের জিডিপির ২০ শতাংশ নির্ভর করে রপ্তানির উপর। আমাদের দেশের অর্থনীতির আয়তন, ক্ষমতা ও উৎপাদন ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে বলতে পারি যে রপ্তানিতে আরও বৃদ্ধি সম্ভব।তিনি বলেন, গুণমান ও বিশ্বাসযোগ্যতার মাধ্যমে নিজেদের পরিচয় তৈরি করার এটিই সঠিক সময়। বিশ্বের প্রতিটি কোণায় যাতে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা তৈরি হয়, তার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আগামী ২৫ বছরের পরিকল্পনা এখনই করে রাখতে হবে। এটি কেবল দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপনেরই সময় নয়, একই সঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগও।করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বে বাণিজ্যের দরজা যে খুলতে শুরু করেছে, তার উপযুক্ত ব্যবহার করা উচিত ভারতীয় রপ্তানিকারকদের, এই পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দেরও তিনি অনুরোধ করেন ভারতীয় পণ্য বিক্রির জন্য নতুন বাজার তৈরিতে সাহায্য করতে। বিশ্ব বাজারে রপ্তানি বাড়াতে ভারতের বাধাহীন ও উচ্চ মানের সরবরাহ ব্যবস্থার প্রয়োজন, যা খরচ সাপেক্ষও হবে না, এমনটাই জানান প্রধানমন্ত্রী।

আগস্ট ০৭, ২০২১
স্বাস্থ্য

Corona-Nasal spray: করোনা প্রতিরোধে নতুন দিশা, বাজারে আসছে ন্যাজাল স্প্রে

করোনা প্রতিরোধে শুধু টিকাতেই আটকে থাকতে চান না বিজ্ঞানীরা। তাই বাজারে আসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে করোনার ওষুধ। ইতিমধ্যে ডিআরডিও-র তত্ত্বাবধানে একটি ওষুধও এসে গিয়েছে। আর এবার করোনা প্রতিরোধে ন্যাজাল স্প্রে বাজারে আসার অপেক্ষায়। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই তৃতীয় ট্রায়াল শেষ করে ফেলবে করোনার ন্যাজাল স্প্রে। ভারতে এর তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস (Glenmark Pharmaceuticals)। সংস্থার দাবি, করোনার বিরুদ্ধে তাঁদের ন্যাজাল স্প্রে অত্যন্ত কার্যকর।আরও পড়ুনঃ বর্ধমানে নকল স্যানিটাইজারের রমরমা, গ্রেপ্তার ৪জানা গিয়েছে, তাঁদের ন্যাজাল স্প্রে বাজারজাত করার অনুমতি চেয়ে গত সপ্তাহে ড্রাগ রেগুলেটরের কাছে আবেদন করেছে গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস (Glenmark Pharmaceuticals)। যদিও ড্রাগ রেগুলেটরের অন্তর্গত সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি (SEC) প্রথমে সংস্থাটিকে তৃতীয় ট্রায়াল সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছে। যা শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে। সংস্থার দাবি, সামনে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে কানাডার সংস্থা স্যানোটিজের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস (Glenmark Pharmaceuticals)। এই বিষয়ে সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারতে সার্স-কোভ-২ (SARS-COV-2) ভাইরাসের মোকাবিলা করতে একসঙ্গে কাজ করবে তাঁরা।ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশেই তাঁদের ন্যাজাল স্প্রে বাজারজাত করেছে কানাডার সংস্থা স্যানোটিজ (Sanotize)। যা করোনার বিরুদ্ধে খুবই ভাল কাজ করছে বলেই সূত্রের খবর।

জুলাই ০৯, ২০২১
দেশ

দেশে একদিনের করোনার বলি প্রায় ৪০০০

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দেশের ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮ জন। একদিনে করোনার বলি ৩৯১৫। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৫০৭ জন। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৩৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ১৬৪।আইসিএমআর-এর রেকর্ড অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২১৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৯০। ইতিমধ্যে টিকাকরণ হয়েছে ১৬ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫৮ জনের। যা মোট জনসংখ্যার তুলনায় সামান্যই। টিকাকরণের শ্লথ গতির কথা অবশ্য মেনে নিয়েছে কেন্দ্রও।বৃহস্পতিবার দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ১২ হাজারের বেশি। আর শুক্রবার তা তৈরি করল নয়া রেকর্ড। মৃত্যুর হারও আগের কয়েকদিনের চেয়ে বেশি। সুস্থতার পরিসংখ্যানেও তেমন স্বস্তি নেই। এখনও পর্যন্ত করোনাকে কাবু করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন দেশের ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ১২ হাজার ৩৫১ জন। দেশের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে দফায় দফায় জারি হচ্ছে লকডাউন। কোথাও আবার কার্ফু জারির মাধ্যমে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার চেষ্টা চলছে। কোভিড মোকাবিলায় ভারতের দিকে হাত বাড়িয়েছে কার্যত গোটা বিশ্বই। ব্রিটেন, রাশিয়া, ফ্রান্স, সুইডেন-সহ একাধিক দেশ চিকিৎসা সরঞ্জাম, টিকা দিয়ে সাহায্য করেছে। শুক্রবার সকালে সুইজারল্যান্ড থেকেই পণ্যবাহী বিমানে দিল্লিতে নেমেছে ৫০টি রেসপিরেটর, যা এই মুহূর্তে সংকটজনক করোনা রোগীকে বাঁচানোর চিকিৎসায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অক্সিজেনের অভাব মেটাতে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হচ্ছে প্লান্ট। এত কিছু সত্ত্বেও লাগামহীন করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিন রেকর্ড ভেঙেই চলেছে। দ্বিতীয় ধাক্কায় যদি এই পরিস্থিতি হয়, তবে আসন্ন তৃতীয় ঢেউ আরও কতটা ভয়ংকর হবে, তা ভেবেই আশঙ্কিত আমজনতা।

মে ০৭, ২০২১
দেশ

ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতি, ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত সাড়ে ৩ লক্ষ!

মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ থেকে বেড়ে সাড়ে তি লক্ষে পৌঁছে গেল। যা গোটা বিশ্বে নজিরবিহীন। লাগামছাড়া সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আর বাড়তে থাকা অ্যাকটিভ কেসই বলে দিচ্ছে, কেন চতুর্দিকে অক্সিজেন এবং বেডের অভাব। রীতিমতো দেশকে নাড়িয়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৯১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর বেশিরভাগটাই যে মহারাষ্ট্রে, তা বলাই বাহুল্য। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু মুম্বইতেই সংক্রমিত প্রায় ৬ হাজার মানুষ। একইভাবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজধানী দিল্লি। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছে কেরজিওয়ালের সরকার বলেই খবর। দেশে মোট করোনা আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ১ কোটি ৬৯ লক্ষ ৬০ হাজার ১৭২-এ। এদিকে একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারালেন ২,৭৬৭ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৩১১ জন। লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে করোনার চিকিৎসাধীন ২৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৫১ জন।পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ১৭ হাজার ১১৩ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৮৫ হাজার ১১০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। টিকা পেয়েছেন ১৪ কোটি ৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ। দেশজুড়ে করোনার নয়া তাণ্ডব রুখতে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ১ মে থেকে আবার ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। আইসিএমআর-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৭ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৮৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তবে শুধু বাড়তে থাকা সংক্রমণই নয়, চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেনও।

এপ্রিল ২৫, ২০২১
দেশ

করোনা সংক্রমণে বিশ্বরেকর্ড ভারতের

দৈনিক করোনা সংক্রমণে বিশ্বের সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দিল ভারত। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লাগাতার বাড়ছিল করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার তা যেন মাত্র ছাড়িয়ে গেল। বিশ্বের সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে একদিনে করোনা আক্রান্ত হলেন প্রায় ৩ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষ। এর আগে গতবছর ১৭ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় একদিনে ৩ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ করোনার কবলে পড়েছিলেন। সেই রেকর্ডও এদিন ভেঙে দিল ভারত। আক্রান্তের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাটাও বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে।বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৩৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১৮ হাজার বেশি। এই সংখ্যাটা দেশের তো বটেই গোটা বিশ্বের সর্বকালের সর্বোচ্চ। আপাতত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৯ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৬৫ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৮০ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১০৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৪১ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের প্রায় অর্ধেক। যার ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ২২ লক্ষ ৯১ হাজার ৪২৮ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৮০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকা পেয়েছেন ১৩ কোটি ২৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৬৪৪ জন সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই দেশের বহু রাজ্য কার্ফু এবং লকডাউনের পথে হেঁটেছে। যে তালিকায় সাম্প্রতিকতম সংযোজন মহারাষ্ট্র। আজ থেকেই মরাঠাভূমে শুরু হচ্ছে কঠোর কার্ফু। ঝাড়খণ্ডেও আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৭ দিনের কার্ফু।

এপ্রিল ২২, ২০২১
দেশ

৬ মাস পর দেশের দৈনিক সংক্রমণ ফের ৮১ হাজার পেরলো

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্রমেই বেসামাল হচ্ছে দেশের কোভিড পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭২ হাজার। শুক্রবার তা প্রায় সাড়ে ৮১ হাজার। ২৮ সেপ্টেম্বরের পর এত সংখ্যক লোক এক দিনে আবার আক্রান্ত হলেন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি সবচেয়ে করুণ। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা গোটা করোনাকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেখানে এক দিনে আক্রান্ত ৪৩ হাজার ছাড়িয়েছে।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত ৮১ হাজার ৪৬৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৩ হাজার ১৩১ জন। করোনার নতুন প্রজাতির জন্যই সংক্রমণ এ রকম আকার নিচ্ছে বলে সম্প্রতি মত প্রকাশ করেছিলেন দিল্লি এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। দেখা যাচ্ছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এক লাফে বাড়িয়ে দিয়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। দেশের দৈনিক মৃত্যু এক মাস আগেও ছিল ১০০-র আশপাশে। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৪৬৯। মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৪৯ জনের। কর্নাটক, দিল্লি, পঞ্জাব এবং ছত্তিশগড়েও গত কদিনে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।

এপ্রিল ০২, ২০২১
দেশ

দেশে একদিনে করোনার কবলে প্রায় ৪১ হাজার

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ গোটা দেশকে জেরবার করে দিচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা ৪০ হাজারের উপরে ঘোরাফেরা করছে। ব্যতিক্রম হল না মঙ্গলবারও। এদিন আরও একবার একদিনে আক্রান্ত হলেন প্রায় ৪১ হাজারের কাছাকাছি। মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভোটমুখী রাজ্য কেরল, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি। এরাজ্যেও বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। তবে হঠাত করোনার এই বাড়বাড়ন্তের নেপথ্যে সবচেয়ে বড় কারণ মহারাষ্ট্রের মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা। উদ্ধব ঠাকরের রাজ্য শুরু থেকেই করোনার হটস্পট ছিল। দেশের অধিকাংশ রাজ্যে কোভিড নিয়ন্ত্রণে ছিল, তখনও মারণ ভাইরাসকে বাগে আনতে পারেনি মহারাষ্ট্র। এখন আবার নতুন করে এই মহারাষ্ট্রই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্রেফ গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজারের বেশি।বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪০ হাজার ৭১৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে কয়েক হাজার কম হলেও সার্বিকভাবে উদ্বেগজনক। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯৬ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬০ হাজার ১৬৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৯ জনের। এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে সামান্য কম।গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন মাত্র ২৯ হাজার ৭৮৫ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অনেকটা কম। ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৭৭ জন। গত বেশ কয়েকদিন সংখ্যাটা নিয়মিত হারে বাড়ছে। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন, ১ কোটি ১১ লক্ষ ৮১ হাজার ২৫৩ জন। এখনও পর্যন্ত মোট টিকা পেয়েছেন ৪ কোটি ৮৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫৯৪ জন।

মার্চ ২৩, ২০২১
দেশ

ভারতের মাটি ছুঁল আরও ৩টি রাফালে যুদ্ধবিমান

সাধারণতন্ত্র দিবসে রাফালে যুদ্ধবিমানের কৌশল দেখেছে দেশ। এবার ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি বাড়িয়ে বুধবার ফ্রান্স থেকে আরও ৩টি রাফালে এসে পৌঁছেছে দেশে। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ফ্রান্সের একটি বায়ুসেনাঘাঁটি থেকে উড়ান শুরু করে রাফালে বিমানগুলো। প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটারের এই সফরে মাঝ আকাশে রাফালেগুলোতে জ্বালানি ভরে দেয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বায়ুসেনার ট্যাংকার বিমান। টানা ৮ ঘণ্টার উড়ান শেষে ভারতে এসে পৌঁছয় যুদ্ধবিমানগুলো। উল্লেখ্য, প্রায় দুদশক পর নতুন কোনও অত্যাধুনিক বিদেশি যুদ্ধবিমান হাতে পেয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ১৯৯৭ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় এসেছিল রাশিয়ার তৈরি সুখোই যুদ্ধবিমান। যুদ্ধে রাফালে বিমানকে গেম চেঞ্জার বলে মনে করছে বায়ুসেনা। ইতিমধ্যেই এই বিমানকে লাদাখের প্রতিকুল আবহাওয়ায় মহড়া দেওয়া হয়েছে। বিমানটি দশ টন মাল বহন করতে সক্ষম। মাটি থেকে সমুদ্র বা আকাশের কোনও লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানার ক্ষেত্রে এই বিমানের জুড়ি মেলা ভার। চতুর্থ প্রজন্মের মিডিয়াম মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট রাফালে রয়েছে ম্যাটিওর বিয়ন্ড ভিস্যুয়াল রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র স্কাল্প এবং হ্যামার ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশে উড়তে উড়তেই জ্বালানি ভরে নিতেও দক্ষ রাফালে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২১
রাজ্য

ভারতে আল-কায়দার সংগঠন বৃদ্ধিতে হাত জেএমবির

২০১৪-র ২ অক্টোবর খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর এবার মুর্শিদাবাদ থেকে ৬ জন আল-কায়দা সন্দেহভাজন গ্রেপ্তারের ঘটনায় তোলপাড় সারাদেশ। এই সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে জঙ্গি কার্যকলাপের নানা ধরনের অস্ত্র, নথি পাওয়া গেছে বলে দাবি এনআইএ-র দাবি। প্রশ্ন উঠেছে পশ্চিমবঙ্গকে কেন বারে বারে বেছে নিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলো? আল-কায়দার এই ভারতীয় শাখাকে সাহায্যই বা কে করছে? এমন নানা প্রশ্ন গোয়েন্দাদের মনে উঁকি মারছে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি জঙ্গিরা যুক্ত ছিল। তা তদন্তে প্রমাণ করেছে এনআইএ। জানা গিয়েছে, খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণস্থল থেকে সেই সময় যে নথি পাওয়া গিয়েছিল সেখানে লাদেন, আল-কায়দা সংক্রান্ত বেশ কিছু পুস্তিকা মিলেছিল। তখনই প্রথম সন্দেহ দানা বেধেছিল। ইঙ্গিত যে স্পষ্ট ছিল এখন তা দিনের আলোর মত পরিস্কার। শনিবার ভোরে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা আল-কায়দার সঙ্গে যুক্ত সে বিষয়ে নিশ্চিত এনআইএ। খাগড়াগড় বিষ্ফোরণ পরবর্তীতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জেএমবির সদস্যরা বিভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে বেরিয়েছে। কিন্তু তাদের বেশির ভাগকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিল এনআইএ। এক কথায় মনে করা হয়েছিল্ জিএমবি তাদের কার্যকলাপ অনেকটাই গুটিয়ে ফেলেছিল। নজর ঘুরতেই তারা আল-কায়দার হয়ে কাজ করতে শুরু করে। বিস্তার করতে শুরু করল আল কায়দার ভারতীয় শাখা। এমনটাই মনে করছে তদন্তকারীরা। ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল আল-কায়দার ভারতীয় শাখা। কিন্তু কিভাবে বাড়ছে আল-কায়েদার সংগঠন? সূত্রের খবর, জেএমবির সালাউদ্দিন গোষ্ঠী এদেশে আল-কায়েদার সংগঠন বৃদ্ধির প্রধান সহায়ক। সদস্য সংগ্রহ থেকে অস্ত্র পাচার সবেতেই তারা সিদ্ধহস্ত। পরিযায়ী শ্রমিকের ছদ্মবেশে দেশের নানা স্থানে ঘুরে-বেরানো খুব সহজ। সেক্ষেত্রে সন্দেহ থাকে না। এই সুযোগটাকে ভাল ভাবেই কাজে লাগিয়েছে এই জঙ্গিরা। পাকিস্তান থেকে মূলত এই সংগঠন চালানো হয়। মুর্শিদাবাদের এই সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অনেকেই কেরলে যান কাজের জন্য। কেরল থেকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩ জনকে। তাদের বাড়িও মুর্শিদাবাদে অর্থাৎ মোট ৯ জন আল-কায়েদা সন্দেহভাজন। জেএমবির এই গোষ্ঠী ভারতীয় আলকায়দার শাখাকে সর্বতোভাবে সাহায্য করেছে বলেই জানা যাচ্ছে। সদস্য বাড়ানো, অস্ত্রশস্ত্র প্রশিক্ষণ, অস্ত্র লেনদেন সমস্ত কিছুই সাহায্য করেছে জেএমবি। গোয়েন্দাদের একাংশের ধারণা, জেএমবির একটা অংশ মূলত আল-কায়দার ভারতীয় স্লিপার সেলে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে। তারাই এখন আল-কায়দা। নতুন সদস্য সংগ্রহ করা, প্রশিক্ষণ দেওয়া সবই চলতে থাকে জেএমবির হাত ধরেই। ভারতবর্ষে যে সন্ত্রাসবাদ কার্যকলাপ নতুন করে তৈরি করতে চলেছে ঘটনাচক্রে তার উৎস বাংলার মুর্শিদাবাদ।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal